শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টি পাঁয়তারা করলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এরইমধ্যে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি, সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সাইবার ওয়ার্ল্ডে। বিএনপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সহায়তা করবে। কিন্তু গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিএনপি নয়া পল্টনে পুলিশকে উসকানি দিয়ে যে ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে, এ ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের ওপর হামলা এবং উসকানির অভিযোগে এরই মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাহজাহানপুর এবং রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে থেকেই নানা ধরনের গুজব এবং অপপ্রচার রোধে র্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে উল্লেখ করে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজধানীতে এবং সারা দেশে রুটিন পেট্রোল জোরদার করা হয়েছে। টহল টিম থাকবে, চেকপোস্ট করা হচ্ছে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা কাজ করছেন। কেউ কোনও ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিনা, তাদেরও ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সভাস্থল নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। মোতায়েন থাকবে পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’
এছাড়া রাজধানীতে ঢুকতে এন্ট্রি পয়েন্টগুলো সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, বাবুবাজার ব্রিজ, উত্তরা ও গাবতলীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি। যারাই রাজধানীতে ঢুকছেন তাদেরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে রাজধানীসহ দেশব্যাপী। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।