ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার পেলেন ভূমি সচিব

‘অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ’ সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও তার দল সরকারি সাধারণ ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২' অর্জন করেছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে 'অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ' সিস্টেম উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছিল।

দলের অন্যরা হলেন—ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারেক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. জাহিদ হোসেন পনির।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হাত থেকে পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানি কমানোসহ ভূমি অফিসের দুর্নীতি কমাতে এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থাপিত অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সিস্টেমটি উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সিস্টেম এই বছর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ উইসিস পুরস্কার-২০২২-ও অর্জন করে। 

উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ হোল্ডিং ডাটা ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। অনলাইন দাখিলা (রশিদ) প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অটোমেটেড চালান সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

বর্তমানে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে ভূমি মালিকরা ভূমি অফিসে না এসেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল www.land.gov.bd-এ অথবা ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে অনলাইনে তাদের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করছেন।

ভূমি মালিকরা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সাথে-সাথে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে কিউআর কোড-সমৃদ্ধ যে দাখিলা পাচ্ছেন তা ম্যানুয়াল পদ্ধতির দাখিলার সমমানের এবং সর্বত্র গ্রহণযোগ্য। এছাড়া, এ সিস্টেমের ফলে একদিকে একজন জমির মালিক রেজিস্ট্রেশন না করেও তার এনআইডি দিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারছেন কিংবা অটো-জেনারেটেড করের দাবির পরিমাণের বিষয়ে আপত্তি তারা জানাতে পারছেন। এনআইডি নাম্বার দিয়ে একজন জমির মালিকের সকল তথ্য এই সিস্টেম থেকে জানা সম্ভব। অন্যদিকে, ভূমি অফিসের রেজিস্টারসমূহও ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে এবং ভূমি অফিসের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে আস্থার।