বাংলা ট্রিবিউন-ইউল্যাব বৈঠকি

মেট্রোরেল বাংলাদেশের জন্য একটি বলিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, মেট্রোরেল একটি বলিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ। এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক এবং কোন পথ দিয়ে মেট্রোরেল যাবে বিভিন্ন মহল থেকে বাধা ছিল। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের বিকল্প আছে বলে আমার মনে হয় না। সেক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল প্রজেক্ট, মিলিয়ন ডলার প্রজেক্ট। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটা প্রথমে চিন্তা করা অনেক সাহসের বিষয় ছিল।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) আয়োজিত ‘শহরে আসছে মেট্রোরেল’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা।

এম. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, উন্নত দেশসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এই মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু হয়েছিল আগেই। আমি এখানে জাপানকে ধন্যবাদ জানাবো তারা সহায়তা না করলে আমরা হয়তো এটা চালু করতে পারতাম না। ৭৫ শতাংশ ব্যয় দিয়েছে জাইকা। আরও ৫টি মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকার জ্যাম প্রায় ৫০ শতাংশের মতো কমে যাবে। আমরা জাপানি টেকনোলোজি নিয়ে আসছি। কিন্তু এটাকে মেইনটেইন করা আমাদের জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। এটাকে যদি আমাদের গতানুগতিক ধারায় পরিচালনা করি তাহলে জাপানি প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যাবে না। এবং এর নিয়মিত পরিচর্যার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই সাহসী এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’Screenshot_2022-12-27_200401

বৈঠকিতে আরও যুক্ত ছিলেন—পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য ড. এসএম সালেহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক এবং নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ, মোফাজ্জল হোসেন, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক।