আপাতত মির্জা ফখরুল-আব্বাসের কারামুক্তি নয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়ার জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের সেই আবেদনের ওপর আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল বিভাগে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৮ জানুয়ারীর আগে তাদের জামিননামা দাখিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। তাদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।

পরে ওই দুই নেতার বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।