ইরানে মানবপাচার: দেশে আলীর আরেক সহযোগী গ্রেফতার

ইরান ও তুরস্কে মানবপাচারকারী চক্রের প্রধান গ্রিসপ্রবাসী আলী হোসেনের আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল সোমবার রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে হোসেনের সহযোগী আবদুস সালাম ছোলামত উল্লাহ (৩৪) গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সিআইডির মানবপাচার অপরাধ দমন ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গ্রেফতার আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় ভুক্তভোগীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তাদের ভিজিট ভিসায় দুবাই পাঠানো হতো। পরে দুবাই থেকে আসামির সহযোগী তাদের মারপিট করে কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ইরানি দালাল চক্রের কাছে হস্তান্তর করে। ইরানি দালাল চক্র এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় সমুদ্রপথে ইরানে নিয়ে একই পন্থায় আটক রেখে মারপিট করে। এ ছাড়া দেশে ভুক্তভোগীদের আত্মীয়স্বজনকে মারধরের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণের টাকা দিতে বাধ্য করে।

এসএসপি জানান, গ্রিসপ্রবাসী আলী হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রিমান্ড শেষে বর্তমানে জেলে আছেন রাশিয়া। বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তার জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়। গতকাল সেই চক্রের আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাশিদার স্বামী আলী হোসেন ও ছেলে সাব্বির হোসেন দেশের বাইরে থাকায় তাদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। আর শাহাদাত হোসেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষদের সংগ্রহ করে। ঢাকায় বাকি কাজ শেষ করেন আব্দুস সালাম নামে ওই চক্রের আরেক সদস্য। আর দেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের রিসিভ করে দুবাইয়ে থাকা আব্দুল হান্নান। ইরানে এই চক্রের হয়ে কাজ করে মিজাদুল ও আলীর ছেলে সাব্বির।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা হয়। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিআইডির মানবপাচার প্রতিরোধ শাখা কাজ করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।