‘ভূমি আইন’ নামে দেশে কোনও আইন নাই

‘ভূমি আইন’  নামে কোনও আইন জাতীয় সংসদে এখনও পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

‘সম্প্রতি ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে' মর্মে একটি ভুয়া খবর বা গুজব সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ পর্যালোচনার সময় নজরে আসে। এই ধরনের ভুয়া খবর-গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা মোটেই কাম্য নয়।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) ভুমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

ভূমি মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণকে এ ধরনের ভুয়া খবর বা গুজবের বিষয়ে অধিকতর সর্তক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে' মর্মে একটি ভুয়া খবর/গুজব সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে/ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে— যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ পর্যালোচনার সময় নজরে আসে। এই ধরনের ভুয়া খবর/গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে,যা মোটেই কাম্য নয়।’’

প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ‘ভূমি আইন’  নামে কোনও আইন জাতীয় সংসদে এখনও পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বসাধারণকে এ ধরনের ভুয়া খবর বা গুজবের বিষয়ে অধিকতর সর্তক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া খবর বা গুজব ইন্টারনেটে প্রচার করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

হেল্পলাইন ১৬১২২ (বিদেশ থেকে +৮৮০ ৯৬১২৩ ১৬১২২) নম্বরে কল করে, কিংবা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস পেজ ‘ভূমিসেবা ফেসবুক পেজে’ কমেন্ট করে কিংবা মেসেজ (বার্তা) প্রেরণ করে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে, ভূমিসেবা গ্রহণ করা যাবে এবং ভূমি বিষয়ক অভিযোগ জানানো যাবে।

প্রসঙ্গত, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের। আইন প্রণয়নের ঘটনা জাতীয় জীবনে উল্লেখযোগ্য সংবাদ, যা সাধারণত দেশের সব ধরনের জাতীয় গণমাধ্যমে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। এছাড়া নতুন আইন প্রণয়নের পর তা সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব সরকারি পোর্টালে প্রকাশ করা হয়।