ছুটির বিকালে শিশুদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ

প্রতি বছরই ছুটির দিনের বিকালগুলোতে একুশে বইমেলা মুখরিত হয় শিশুদের পদচারণায়। প্রতিবারই মেলায় শিশুদের জন্য থাকে বিশেষ আকর্ষণ ‘শিশু চত্বর’। মেলার নির্দিষ্ট একটি স্থানে শিশুতোষ প্রকাশনীগুলোকে নিয়ে হয় এই চত্বর। ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের নিয়ে থাকে বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’র প্রথম ছুটির দিন বিকালে শিশুদের পদচারণা আর কলকাকলীতে মুখর ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।

প্রথম শিশুপ্রহরে সকাল থেকেই কচিকাঁচা শিশুদের আগমন শুরু হয়। তবে মেলার মূল আকর্ষণ শিশুতোষ ধারাবাহিক ‘১২৩ সিসিমপুর’ চরিত্রগুলো নিয়ে সাজানো শিশু প্রহর বিকালে শুরু হবে জানতো অনেকেই। আর তাই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মা-অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় আসতে থাকে শিশুরা।

মেলার প্রথম ছুটির দিন বিকালে শিশু চত্বর উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও কলামিস্ট ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে আগত অভিভাবকদের ভাত খাওয়ার সময় মোবাইল দিতে নিষেধ করেন এবং মোবাইল থেকে যতটুকু সম্ভব দূরে রাখার আহ্বান জানান। এছাড়াও শিশুদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার তাগিদ দেন তিনি।

শিশু চত্বর উদ্বোধনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সিসিমপুরের প্রচারিত তথ্য থেকে  শুধু আনন্দ না নিয়ে শিশুদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করুন।’

শিশু চত্বর উদ্বোধনের পরপরই মঞ্চে আসে সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র টুকটুকি, ইকরি,হালুম ও শিকু। তাদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের উচ্ছ্বাস বাড়তে থাকে। জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গে নাচে গানে মাতে তারা।

টুকটুকি, ইকরি,হালুম ও শিকুকে নিয়ে মেতে ওঠে শিশুরা

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আদনান সাইমুন মেলায় ঘুরতে এসেছে বাবার সঙ্গে। বইও কিনেছে তিনটি। তবে মেলায় আজকে আসার মূল কারণ হালুমকে দেখা বলে জানায় সাইমুন। বলে, ‘দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেই আব্বুকে তাড়া দিয়ে মেলায় নিয়ে এসেছি। একটি ইংরেজি রূপকথার গল্পের বই, একটি ছড়ার ও একটি ছবি আঁকার বই কিনেছি। তবে আমি মূলত হালুম দেখতে এসেছি।’

পঞ্চম শ্রেণির নাজিয়া আফনানের ভালো লাগার চরিত্র ইকরি। কারণ হিসেবে নাজিয়া জানায়, সেও ইকরির মতো প্রশ্ন করতে পছন্দ করে। নাজিয়ার কথায়, ‘আমি আজকে মেলায় এসেছি। অনেক আনন্দ করবো। ইকরিকে আমার ভালো লাগে বেশি। কারণ, সেও আমার মতো বেশি বেশি প্রশ্ন করে।’