৯৯৯ নম্বরে কলে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার হলো তরুণী

৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ফরিদপুরে যৌনপল্লী থেকে এক তরুণীকে (১৯)  উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ফরিদপুর রথখোলা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাসখানেক আগে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু সেই প্রেমিকের  প্রতারণার শিকার হন তিনি। তাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। এরপর এক রিকশাচালককে তরুণী অনুরোধ জানান যে, রাত যাপনের জন্য তাকে যেন কোনও কম দামের হোটেলে নিয়ে যান। কিন্তু ওই রিকশাচালক তাকে নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। এরপর মাসখানেক ধরে সেখানে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হন তিনি।

এস কাজে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হতো তাকে। এমন অভিযোগ জানিয়ে শনিবার (৪ জানুয়ারি) ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন তরুণী। তিনি জানান, ফরিদপুরের রথখোলা এলাকায় একটি যৌনপল্লীতে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি একজন  খদ্দেরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ এর অপরেটরের কাছে অনুরোধ জানান।

জানা যায়, ৯৯৯ নম্বরে ওই তরুণীর কলটি রিসিভ করেছিলেন কনস্টেবল মামুনুর রশিদ।  মামুন তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। ৯৯৯ ডেস্পাচার এস আই দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।