বইয়ের জ্ঞান নিয়ে আমরা সূর্যের মতো আলোকিত হবো: মতিয়া চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা করা 'স্মার্ট বাংলাদেশের' ধারণায় আগামী প্রজন্ম অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘লাইব্রেরি না থাকলে আমরা পূর্ব প্রজন্ম সম্পর্কে জানতে পারতাম না। স্মার্ট প্রযুক্তি না থাকলে ভবিষ্যত সম্পর্কেও চিন্তা করা যায় না। লাইব্রেরি এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক ও স্মার্ট লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। বইয়ের জ্ঞান নিয়ে আমরা সূর্যের আলোর মতো আলোকিত হবো। নতুন প্রজন্ম এভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নিজেকে স্মার্ট মনে করলে, চৌকষ মনে করলে বই পড়তে হবে। জ্ঞানমনস্ক আলোকিত মানুষ তৈরি করতে পারলেই জ্ঞানমনস্ক সমাজ তৈরি হবে। এটি লাইব্রেরির আধুনিক ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব।’

শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আলোকিত মানুষ হতে অন্ধকার থেকে আলোর পথে যেতে হবে। এর জন্য গ্রন্থাগারে সময় দিতে হবে, পাঠাগার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাহলে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে উঠবে।’

আলোচনা সভায় ‘স্মার্ট দেশ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী।  তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। গ্রন্থাগার স্মার্ট করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যেখানে সব কার্যক্রম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হবে, গ্রন্থাগার সেবা গ্রহীতা ঘরে বসেই সব সেবা পাবে। সমাজের সবাইকে গ্রন্থাগার সেবা দিয়ে বৈষম্য দূর করে আনার মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক গঠনে সাহায্য করবে।’

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আবুবকর সিদ্দিক, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে সকাল ১০টায় ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের গ্রন্থাগার দিবসের উদ্বোধন করা হয়। দেশের সকল পর্যায়ের জনগণকে গ্রন্থাগারের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন করতে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর এবং এর আওতায় থাকা বিভাগীয়-জেলা-উপজেলা গণগ্রন্থাগারে একযোগে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করা, পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, মননশীল সমাজ গঠনের কেন্দ্র-বিন্দু ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে লাইব্রেরির ভূমিকাকে দৃঢ় করাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের মূল লক্ষ্য।