সাগর-রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি।

এতে বলা হয়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজা বাজারে নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তের কোনও ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেওয়া হয়েছে। বিচার না পেয়ে সাগর-রুনির পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে মারা গেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনও বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সারওয়ারের মা সালেহা মুনির ও সাগর-রুনির একমাত্র ছেলে মাহীর সারওয়ার মেঘ। যেকোনও হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে; অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনও কুলকিনারা তারা করতে পারবে না– এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে এ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। না হলে আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এই হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ-এ দাবি থেকে সরে যাবে না।

এ সময় ছিলেন– ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দফতর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল।