দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

দুর্নীতির মামলায় ঢাকা ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাকে আগামী ১২ মার্চ এই বিষয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুদকের চার্জশিট অনুমোদনকারী কমিশনকেও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা সুলতানা ফাহমিদার মামলায় অব্যাহতির আবেদনের রুল শুনানিকালে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও পার্থ সারথি রায়।

এর আগে পরস্পর যোগসাজশে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে ও ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় ২৬টি বিল জমা দেওয়া হয়। পরে ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করে আসামিরা। এরমধ্যে ৩টি বিলের মূল্যসহ ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।

পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন সাত জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন একই ব্যক্তি সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।

ওই মামলার আসামিরা হলো—সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব), তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ভিপি ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম, ব্যাংকটির এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।

কিন্তু তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তা মো. আমিনুল, রাশেদ ইমাম, মো. আসাদুজ্জামান, খন্দকার মাহবুবুল কবির ও সুরাইয়া বেগমকে অব্যাহতি দেন।