দুর্যোগে কিডনি রোগীর চিকিৎসায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগ একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপ্রত্যাশিত দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এই রোগীরা। তাই অপ্রত্যাশিত দুর্যোগের সময় এই ধরনের রোগীদের জরুরি চিকিৎসায় সমন্বিত উদ্যোগসহ ‘ইমারজেন্সি রেসপন্ডস প্ল্যান’ থাকা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘অপ্রত্যাশিত দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।

বৈঠকটি আয়োজন করে কিডনি বিষয়ক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধে ক্যাম্পাসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, যাদের কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়, তাদের প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডায়ালাইসিস করতে হয়। কিন্তু দুর্যোগের সময় ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয় না। এতে কিডনি বিকল হতে পারে। আবার দুর্যোগের সময়ে আঘাত, রক্তক্ষরণ, দুর্যোগ-পরবর্তী ডায়রিয়া ইনফেকশন— এসব কারণে তীব্র মাত্রার আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই কিডনি রোগী দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।’

গোলটেবিল বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি তুরস্কে সংঘটিত ভূমিকম্প আমাদের জন্য একটি সতর্কবাণী। সরকার এই বিষয়ে সচেতন রয়েছে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

কিডনি রোগকে ‘নীরব দুর্যোগ’ আখ্যায়িত করে কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এ রোগের জটিলতা ও চিকিৎসা ব্যয়ের আধিক্য বিবেচনায় প্রতিরোধকেই একমাত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব রাজধানী ঢাকার সব বড় স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় কি না, সেটি পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহাম্মেদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।