‘রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারলে নারীদের অগ্রগতি পরিপূর্ণ হবে’

রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারলে নারীদের পরিপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি এবং দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এ আয়োজন করে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা যদি সমতা ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, তাহলে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অল্প কিছু মেয়ে আমাদের সঙ্গে পড়তো। বর্তমানে নারীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে। তাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। একটা ক্ষেত্রে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে, সেটি হলো রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে।’

তিনি বলেন, ‘যে পদ্ধতিতে নারীদের সংসদ ও স্থানীয় সরকারে স্থান দেওয়া হয়, সে পদ্ধতিটা সঠিক নয়। এর ফলে নারীদের রাজনৈতিক বিকাশ ঘটে না। এ পদ্ধতি বদলানো দরকার। তাহলেই সত্যিকার অর্থে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে।’

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। এছাড়া সভায় ছিলেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, বাংলাদেশের ওমেন হেলথ কোয়ালিশনের শরীফ মোস্তফা হেলালসহ জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের নেতারা।

নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ‘আমরা নারীরা কি আদৌ সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিতি হতে পেরেছি, সমঅধিকার পেয়েছি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ পেয়েছি– এ সব প্রশ্ন আজ নারী দিবসের অনুষ্ঠানে আমার মনকে নাড়া দিচ্ছে। অনেক সময় পেরিয়েছে। তারপরও নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি সংঘটিত বিভিন্ন নির্যাতনের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সাইবার বুলিং। ডিজিটাল যুগে সবকিছু যেমন ডিজিটাল হচ্ছে, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতনও ডিজিটাল রূপ ধারণ করেছে। সাইবার জগতে নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ স্বীকৃতির অভাবে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নারীরা অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। নায্য সমাজ গঠনের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে দুই জন কৃতী নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন– দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা ম্যাগজিনের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ের লড়াকু সৈনিক সাবরিনা সুলতানা।