৮ দফা দাবিতে দলিত জনগোষ্ঠীর মানববন্ধন

পেশাভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২’ অবিলম্বে পাসসহ আট দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।

তাদরে দাবিগুলো হলো– জাত-পাত ও পেশাভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ অবিলম্বে পাস করা; জাতীয় সংসদে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; জাতীয় বাজেটে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় বরাদ্দ বাড়ানো; সব মহানগরী ও পৌরসভায় দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং খাসজমি বরাদ্দের মাধ্যমে গ্রামীণ দলিতদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা; পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশেষ বিবেচনায় এনে তাদের জন্য সুরক্ষার সব উপকরণ সরবরাহ করা; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলিত শিক্ষার্থীদের ‘ভর্তি কোটা’ প্রবর্তন করা; সব ধরনের সরকারি চাকরিতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য ‘কোটা ব্যবস্থা’ প্রবর্তন করা এবং দলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া রোধকল্পে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশেষ উপবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা।

মানববন্ধনে বিডিইআরএম’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ভক্ত বলেন, ‘দলিত জনগোষ্ঠী সবসময় বঞ্চিত থেকে যায়। কেউ তাদের ঘর ভাড়া দিতে চায় না। তাদের স্কুল-কলেজে ভর্তি করা যায় না। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে খাওয়া যায় না। তাই আমরা ২০২২ সাল থেকে যে বৈষম্য বিরোধী বিলের কথা বলে আসছি সেটা অবিলম্বে পাস করার দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে আমাদের অনেক নামে ডাকে। নাম যেটাই হোক না কেন আমাদের নাগরিক অধিকার দেওয়া হোক। একজন হরিজন কর্মীর বেতন এক থেকে ছয় হাজার টাকা। এই টাকায় তারা খাবে না বাসা ভাড়া দেবে? তাই চাকরি থাক বা না থাক, দলিতদের কলোনিতে থাকতে দিন। কারণ তাদের কেউ বাসা ভাড়া দেয় না, আর্থিক অবস্থাও ভালো না। তারা কোথায় যাবে?’ এ সময় তিনি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন বেতন স্কেল অনুযায়ী হরিজনদের বেতন ৮২৫০ টাকা করার দাবিও রাখেন।

মানববন্ধনে আরও ছিলেন– বিডিইআরএম’র ঢাকা জেলা সভাপতি গগন লাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডেভিড রাজু ভীম পল্লি প্রমুখ।