রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজের সিদ্ধান্ত চেম্বারে বহাল

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো.সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া দুটি রিট হাইকোর্টে খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান।

এর আগে গত ১৫ মার্চ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

এর আগে দুটি পৃথক রিট দায়ের করেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী।

তবে গত ১২ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটির শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রিট আবেদনটি দুটি নতুন বেঞ্চে নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এসময় বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত, এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

গত ৭ মার্চ রিট দুটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। তিনি জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি, দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ওই রিটকারী আইনজীবী। পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি রিট দায়ের করেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার  মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।