কবি কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার (২৬ মাচ) সকালে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। আব্দুল্লাহ বিপ্লব ও তামারা তিথির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবিতা পাঠ করেন দি রেইন। তিনি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতা ‘বিষবৃক্ষের বীজ থেকে পাচু বিবির সংলাপ’ এবং ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ পাঠ করেন। তারপরেই মজুমদার বিপ্লব উপস্থাপন করেন মুস্তফা আনোয়ারের কবিতা ‘বৈশাখের রুদ্র জামা’ এবং অসীম সাহার কবিতা ‘পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত’।

অন্যান্য লাবণী পাঠ করেন মোশাররফ করিমের কবিতা ‘মারো মরো হারিয়ে যাও’ এবং নাসিমা সুলতানার ‘যুদ্ধে যাওয়ার গল্প’। মিজানুর রহমান সজল আবৃত্তি করেন ‘স্বাধীনতা ভোর কবিতা’, কবি সৈয়দ সামসুল হক এবং অসীম সাহার কবিতা ‘আমি স্বাধীনতার কথা বলছি’। লায়লা আফরোজ আবৃত্তি করেন ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। কাবিতার মূল কবি এলেন গ্রিন্সবার্গ, অনুবাদ করেছেন খান মোহাম্মদ ফরাবী। মীর বরকত পাঠ করেন কবিতা ‘মেহরুন’, লিখেছেন কবি মোস্তফা তোফায়েল হোসেন।

আব্দুল্লাহ বিপ্লব পাঠ করেন আহসান হাবিবের কবিতা ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’। নায়লা তারান্নুম কাকলী আবৃত্তি করেন ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। কবিতাটি লিখেছেন সৈয়দ সামসুল হক। তিনি পাঠ করেন আরেকটি কবিতা ‘তোমারি তরে মা’। কবিতাটি লিখেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আহসান উল্লাহ তমাল উচ্চারণ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ এবং শামসুর রহমানের কবিতা ‘অভিশাপ দিচ্ছি’। স্বরচিত কবিতা ‘প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে’ পাঠ করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

পরে শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান একাডেমির কর্মকর্তা-শিল্পী-কর্মচারীরা।