মেয়েশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে এশিয়ান পেইন্টস ও একশনএইডের মধ্যে চুক্তি

‘হ্যাপি হোম’ এর মেয়েশিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং একশনএইড বাংলাদেশ। রবিবার (২ এপ্রিল) এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

সমঝোতা অনুযায়ী এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড একশনএইড বাংলাদেশের উদ্যোগ হ্যাপি হোম এর তিন তলা বিল্ডিং পেইন্টিং, পেইন্টিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পেইন্টার সহায়তার পাশাপাশি হ্যাপি হোমের যেসব মেয়ে পেইন্টিং শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়াও পুরো রমজান মাস জুড়ে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ‘এশিয়ান পেইন্টস আল্টিমা’ বা ‘রয়্যাল লাক্সারি ইমালশন’ ক্যাটাগরির পেইন্ট বিক্রির প্রতিটি ইউনিটের প্রতি লিটারে ১ টাকা ‘হ্যাপি হোম’ এর কল্যাণে দিয়ে দেবে।

এই প্রসঙ্গে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, পথশিশুদের মধ্যে মেয়েশিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের নিরাপদ আশ্রয় এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিতে আমরা হ্যাপি হোম প্রকল্প শুরু করি। আমরা আনন্দিত যে এশিয়ান পেইন্টস শিশুদের জীবনকে রঙিন করতে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এর মার্কেটিং অ্যান্ড নিউ ক্যাটাগরি হেড নাজমুল হুদা নাইম বলেন, এশিয়ান পেইন্টস একটি সামাজিক দায়িত্বশীল কোম্পানি। আমরা সবসময় কমিউনিটির সুন্দর ভবিষ্যতে নিশ্চিতে অবদান রাখতে চাই। হ্যাপি হোমের মেয়েদের জন্য একটি পেইন্ট মেকওভার প্রদান করা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমি আশা করি এটি তাদের জীবনকে উজ্জ্বল করবে।’

উল্লেখ্য, একশনএইড বাংলাদেশের উদ্যোগে ২০০৬ সালে ‘হ্যাপি হোম’ প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্প দরিদ্র, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়ে পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে ‘হ্যাপি হোম’ প্রকল্প।