গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনে খালি আসনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তিতে খালি আসনের তালিকা তৈরি ও প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মেধা তালিকায় থাকা ভর্তিবঞ্চিত তিন শিক্ষার্থীর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এবিএম ওয়ালীউর রহমান খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আইনজীবী এবিএম ওয়ালীউর রহমান খান জানান, ২০২১-২২ সেশনে ৩০ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা হয়। রিট আবেদনকারীরা বিভিন্ন ইউনিটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ দশমিক ৫০ থেকে ৫১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। আর ভর্তির জন্য সর্বনিম্ন স্কোর হচ্ছে ৩৫ নম্বর। কিন্তু ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফাইনাল তালিকা প্রকাশ না করে এবং বিভিন্ন আসন খালি থাকার পরও কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আসন খালি রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা সঠিক নয়। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এসব বিষয় উল্লেখ করে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা রিট দায়ের করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে আদেশ দেন।

রুলে খালি আসন পূরণ না করে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ কেন অবৈধ হবে না— জানতে চেয়েছেন আদালত। আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, এক মাসের মধ্যে ইউনিট ভিত্তিতে খালি আসনের তালিকা প্রস্তুত এবং প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীরা মেধা তালিকা অনুসারে যোগ্য হলে তাদেরকে ভর্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের ওই আইনজীবী।

আবেদনকারীরা হলেন—বরিশালের ইমাম হোসেন, কুমিল্লার মো. ওয়হিদুর রহমান লিমন ও পটুয়াখালীর সাকিল হোসেন রাতুল।      

রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইসলামী, শাহজালাল, খুলনা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ, মওলানা ভাসানী, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল, যশোর, বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বরিশাল, রাঙামাটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, চাঁদপুর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।