ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডিএমপির মতবিনিময়

রাজধানীতে সম্প্রতি বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদ পরবর্তী সময়ে মার্কেটের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ডিএমপির এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

সভায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, শপিং মল, জুয়েলারি মার্কেটসহ বাজারকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের পরামর্শ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রত্যেক মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থা ও হঠাৎ কোনও কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা নির্বাপণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে। বিশেষ করে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কোন পথে প্রবেশ করবে, কোন পথে মালামাল বের করা হবে, তার বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকতে হবে। এ ধরনের পরিকল্পনা সবার সুবিধার্থে প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে রাখা যেতে পারে।’

অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ হচ্ছে— পুরনো ইলেকট্রিক্যাল লাইন সংস্কার না করা। নকল, সস্তা ও মানহীন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ব্যবহার করা। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য মানসম্মত ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার ও যেসব মার্কেটে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সেসব মার্কেটে নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সিসি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকবে। মার্কেটের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন। তাছাড়া বাড়িতে বসে মার্কেটের নজরদারি করার জন্য মার্কেটে আইপি ক্যামেরা বসাতে পারেন।’

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদর দফতারের বিভিন্ন কর্মকর্তা। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআইসহ ঢাকার বিভিন্ন থানার স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।