এক মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের জামিন

চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ঢাকায় দায়ের করা একই আইনের মামলায় তার জামিন আবেদনের আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আদালত।

রবিবার (৪ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি ঢাকায় করা মামলায়ও জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এই মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।

এই মামলায় ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বাবুল আক্তার  ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়।মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ-প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।

একই অভিযোগে এই আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।

স্ত্রী হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেফতার হয়ে বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।