নাশকতার এক মামলায় মামুনুল হকের জামিন

পুলিশের কাজে বাঁধা, নাশকতার অভিযোগ ও বিস্ফোরকদ্রব্য রাখার এক মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও পল্টন থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তার পৃথক পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার (১২ জুন) পৃথক দুটি হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেন এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার পরিপ্রেক্ষিতে একটি আন্দোলন হয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টনে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগীয় পুলিশ ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল।

২০২০ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি মামলাগুলোতে জামিন না হওয়ার তিনি আপাতত কারামুক্ত হতে পারছেন না।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৮ মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পাঁচটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের দুটি বহাল থাকায় মোট ১৮টি মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের এই আলোচিত নেতা। পুলিশের কর্তব্যকাজে বাঁধা, হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই পাঁচ মামলা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।