বাংলাদেশ-দক্ষিণ সুদানের বন্ধুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন

গেলো প্রায় ৬ বছর ধরে আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরই নিদর্শন হিসেবে দুই দেশের জাতির পিতার সম্মানে দেশটিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দক্ষিণ সুদানের ওয়াও শহরে ‘সাউথ সুদান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মনুমেন্ট’ নামের এই স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ইব্রাহিম সুরুর ইব্রাহিম এবং দেশটির সেনাবাহিনীর ৫ এলিফ্যান্ট ডিভিশনের চিফ অব অপারেশন মেজর জেনারেল মাকুয়েই কির আকুক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা

এছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানে কর্মরত বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পদাতিক পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপ্রাণির চিকিৎসা, বিদ্যালয়ে বই-খাতা ও স্টেশনারি প্রদান, কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল এ সময় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

সুদানি শিশুদের সঙ্গে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা

শান্তি প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতে দক্ষিণ সুদান ও বাংলাদেশের মধ্যকার এ সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ককে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

সবশেষে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিদেশের মাটিতে দেশের সুনামকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ও নিরলসভাবে কাজ করতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। দক্ষিণ সুদানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ায় তিনি সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

উপহার তুলে দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা