বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা প্রশ্নে রুল

নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট পিটিশনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম. ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ও বজরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, নোয়াখালীর ডিসি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, নোয়াখালী-১ জাতীয় সংসদের ২৬৮ নং সংসদীয় আসন। জেলার চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, সোনাইমুড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সীমানায় এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনগুলোর সীমানা নিয়ে খসড়া প্রকাশ করলে তাতে এই আসনের সীমানা নিয়ে কোন ভোটার আপত্তি জানায়নি। পরে দেখা যায় স্থানীয় জনসাধারণের মতামত না নিয়েই নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম এবং নোয়াখালী-২ আসনের (আসন নং-২৬৯) সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের সিইসি বরাবর দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালী-১ আসন থেকে বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে সীমানা গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালী-১ আসনে থেকে বজরা ইউনিয়নকে সরিয়ে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে এ সংক্রান্ত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি উল্লেখ করে আমরা হাইকোর্ট রিট পিটিশন দায়ের করি। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন।