রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের তিন দফা নির্দেশনা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য ‘বিকৃত’ করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের সাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশিত হয়।

রায়ে উল্লেখিত তিন দফা নির্দেশনা হলো─ ১. ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে (বিবাদী নম্বর-২) শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনও ভবন/স্থাপনা আছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়, ২. তদন্তে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনও ভবন/স্থাপনা পাওয়া গেলে সেসব ভবন/স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, ৩. শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষার্থে ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর এর আশপাশের জমি ও ভবনের ব্যাপারে যথাযথ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে নিতে পারবেন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি

এর আগে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির প্রত্নতত্ত্বের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিধি অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে হাইকোর্টের রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন- রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং অভিযোগ আছে এর সৌন্দর্য বিকৃত করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

আদালত নির্দেশনায় বলেন- ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন এবং সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে হলে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।