রাজধানীর শান্তিনগরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর শান্তিনগরে মো. খালেদ শেখ (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা বলছেন, চোর সন্দেহে বন্ধুর ছোট ভাইকে মারপিট করার সময় বাধা দিতে গিয়ে এলোপাতাড়ি বেত ও লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাত ১১টার দিকে শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশে আবেদ হোল্ডিং নামক একটি কনস্ট্রাকশন ভবনের গ্রান্ড ফ্লোরে এ ঘটনা ঘটে।

পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সালাউদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একটি কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং এ চোর সন্দেহে এক যুবককে মারপিট করতে থাকে কয়েকজন। সেখানে খালেদ নামের যুবক বাধা দিতে গেলে তাকে তারা মারপিট করে আহত করে। পরে চিকিৎসার জন্য ঢামেক নিয়ে গেলে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনা স্থলে আমাদের টিম পাঠানো হয়েছে। ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ‌বলেও জানান ওসি। 

ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহতের বন্ধু সজীব জানান, খালেদের এক বন্ধুর ছোট ভাইকে চোর সন্দেহে সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীসহ ১০ থেকে ১৫ জন যুবক মারপিট করতে থাকে ও তাকে আটকিয়ে রাখে। সেখানে খালেদ গিয়ে তাদের বাধা দেন। তাকে মারছে কেন- সেটাও জানতে চায়। তার কোনও অপরাধ থাকলে তাকে পুলিশে দেন— বলায় হামলাকারীরা খালেদকেও কিল ঘুষি, লাঠি ও বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃতের বড় ভাই শাকিল শেখ বলেন, খালেদের বন্ধুর ছোট ভাইকে চোর সন্দেহে কয়েক যুবক মারপিট করায় খালেদ বাধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে‌। পরে তার বন্ধুরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ঢামেকে এসে খালেদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার জাফরা কান্দি গ্রামের ডেজার ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ শেখের ছেলে। বর্তমানে রামপুরা হাইস্কুল রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। পেশায় তিনি আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।