বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদিকে কেন ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে পুরো ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওয়াসা ও তিতাস কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার কারণ নিয়ে আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহতের বাবার পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

এর আগে গত ১ মে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ধূপখোলাবাজারে রাস্তার পাশে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন- মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিমের দোকানদার মো. রাশেদ (৩০), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২৩), শাড়ি দোকানদার আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫) এবং মো. সোহেল (৪৮)।

গত ৬ মে ভোর সাড়ে ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী মারা যান।

জানা গেছে, মেহেদীর শরীরের ৩০ ভাগ দগ্ধ ছিল। মেহেদী গেন্ডারিয়া ডিস্ট্রিলারি রোডের একটি মেসে থাকতেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

পরে ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।