অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগ

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের ২২ বছর সাজা প্রত্যাশা দুদকের

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের ২২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে দুদক।

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে দুদক যুক্তি উপস্থাপন করে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন। আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৯ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, ‘পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ আমরা যুক্তি উপস্থাপন করি। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের ২৭(১) ধারায় ১০ বছর এবং মানিলন্ডারিং আইনে ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’

এদিন কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।

বাকি পলাতক আসামিরা হলেন– পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।