‘ওমানে নারী এমপি আটকের ঘটনা বিব্রতকর’

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে ওমানে নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে আটকের ঘটনা বিব্রতকর। এটা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যেমন বিব্রতকর, তেমনি বাংলাদেশ সরকারের জন্যও।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট ১৭ জনকে আটক করা হয় এবং তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্থানীয় আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, বাংলাদেশি নেতা ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা যখন বিদেশ সফর করবেন, তখন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সভা করার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা স্থানীয় আইন যথাযথভাবে মেনে চলবেন। যাতে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘ওমানে সভা করার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে এবং যারা ওখানে সভা করেছিলেন, তারা ওমান সরকারের অনুমতি নেননি। এছাড়া সংখ্যাও অনেক বেশি ছিল। এটি হোটেলে করা হয়েছিল। এ জন্য পুলিশ তৎপরতা চালায়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি দূতাবাস থেকে যত দূর জানতে পেরেছি, সংসদ সদস্যকে পুলিশ কাস্টডিতে দেখে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা গিয়ে মুক্ত করেন।’

মুচলেকা দিতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেহেলি সাবরিন বলেন, দূতাবাসের ক্ষেত্রে সব কিছুর একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আছে। দূতাবাস যখন হস্তক্ষেপ করেছে তখন দূতাবাসের একটি মুচলেকা, হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই তো পুলিশ কাস্টডি থেকে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনুষ্ঠান হয়েছিল রাত ১০টার দিকে। পরদিন সকালে দূতাবাসের হস্তক্ষেপে নারী এমপিকে মুক্ত করা হয়।