জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুধুমাত্র ভৌগোলিক স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করিনি জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাঙালি জাতি এগিয়ে চলছিল তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের। নির্মম এ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকেই স্তব্ধ করে দেয়নি, শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতাকেও সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে সামরিক শাসকেরা তাদের সুবিধামতো ক্ষমতা দখল এবং রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধাকে কুক্ষিগত করে রাখার সুযোগ পেয়েছিল।
রবিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে আলোচনা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ আয়োজনে তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হয়ে বাংলাদেশ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করছে তখনও সমাজের একটি অংশ আল বদর, রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল। তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। সেই পক্ষ এখনও বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটি কেন বাতিল হয়েছে তা বিএনপি নিজের চেহারা নিজে আয়নায় দেখলেই বুঝতে পারার কথা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়া।