বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। যতদিন বিশ্বে বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে অমলিন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কিত অধ্যায়। এ দিনটি বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে চরম লজ্জা ও বেদনার দিন। আমাদের সকল অর্জন, গৌরব ও অহংকার ধূলিসাৎ হওয়ার দিন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অভিন্ন সত্তা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রহমতে আলম ইসলাম মিশন ও ইসলাম মিশন এতিমখানায় শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দায়িত্বরত অবস্থায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের এএসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান শহীদ হন।

আইজিপি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে ভৌগোলিক মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এ দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিচ্ছেন। বিগত এক দশক ধরে দেশের প্রত্যেক সেক্টরে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে 'রোল মডেল'। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিরা তার দৈহিক সত্তা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ী পিতাকে মারতে পারেনি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অবিচ্ছিন্ন ধমনী-স্পন্দন।

তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রচণ্ড ভালবাসা। বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রামী জীবনে শত ব্যস্ততার মাঝেও ভাবতেন শিশুদের নিয়ে। তিনি মনে করতেন, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস দূরে ঠেলে সম্প্রীতির সমাজ বিনির্মাণের যে চেতনা, তা জাগাতে হবে শিশুদের মানসপটে। এজন্য পুলিশ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ থেকে শুরু করে দেশের যেকোনও সংকটে পুলিশের প্রতিটি সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপিরা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং মাদ্রাসাটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক জিল্লুসহ শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, তাদের পরিবারের সদস্য ও সব শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।