দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এর ফলশ্রুতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন’ উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ এ ভূষিত হয়েছে।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘দুর্যোগ সহনশীলতা সপ্তাহ- ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ বি তাজুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করা এবং সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২’, ‘জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫’, ‘জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০’, ‘ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১’, ‘মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬’ এবং ‘দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) ২০১৯’ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রণীত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রতিবন্ধী, নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুসহ দুর্গত জনগোষ্ঠীর চাহিদা নিরূপণ ও বাস্তবায়ন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি বৈশিষ্ট্য এবং ভূমিকম্পের মতো অন্যান্য বিপদের ধারাবাহিকতার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০২১ অনুসারে বাংলাদেশ গত এক দশকে চরম আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম।

বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসে জীবন ও সম্পদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয়, টেকসই ও নিরাপদ দেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে; যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চআয়ের উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে।