দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন করাসহ চার দাবি হিন্দু মহাজোটের

আসন্ন দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি তিন দিন করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারী খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলা কালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এসময় এই দাবিসহ সংগঠনটি চার দফা দাবি জানায়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে পাঁচ দিনব্যাপি ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতি নীতি মেনেই দুর্গাপূজা সম্পাদন করতে হয়। দুর্গাপূজার মূল তিনটি দিনই হলো সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী। এই উপলক্ষে দিন রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পূজা সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু এই পাঁচ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র একদিন সরকারি ছুটি। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারেন না। আমরা প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠিয়েছি, কিন্তু তার কোনও সদুত্তর পাইনি।

দুর্গাপূজা ও নির্বাচন; এই দুটি বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কারণ পূজা ও নির্বাচনে আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের স্থাপনার উপর আঘাত করা হয়েছে। ২০২১ সালের দুর্গা পূজার আগে এবং বিশেষ করে পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আঘাত হানা হয়েছে। তাই আমরা চাই, এবারের দুর্গাপূজায় প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দির ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ পূজার শেষ সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।’

জোটের চার দফা দাবিগুলো হলো—

দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি তিনদিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে;  প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দির ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে শেষ পর্যন্ত সময় নিরাপত্তা জোরদার করা; সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এর দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগ করা।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রনজিৎ কুমার মৃধা, তপন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বাড়ই ও সঞ্জয় কুমার সাহা প্রমুখ।