পাচারের টাকা ফেরাতে বিদেশি রাষ্ট্র-আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিঠি  

বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থপাচার হওয়া ১০টি দেশসহ ২০টির মতো দেশের দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়।

রবিবার বিকালে সংগঠনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক  সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন এ তথ্য জানান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থপাচার এবং আত্মসাৎ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে দেশের সম্ভাব্য পাচার নিয়ে তিনটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাদের হিসাবে ২০০৬ থেকে ২০১৫ এই ১০ বছরে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে তারা অনুমান করেছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ নাগাদ প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা। দেশে একটা ‘ফিইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ আছে। দেশে পাচার বন্ধে যাদের কাজ করার কথা, তারা ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির তথ্য জিএফআই.-কে সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে জিএফআই থেকে আর কোনও হিসাব পাওয়া যায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বেশ জোরেশোরে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ব্যাপকভাবে উদ্বেগ ও তৎপরতা দেখিয়েছে।