‘জয় বাংলা’ বলা শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ। জেলা শিক্ষা অফিসারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় দরিকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে এমপির নির্দেশে বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস। গত ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবীর সই করা চিঠিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এমপি আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। পরে এ ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বশির আহমেদ।

পরে গত ৩০ আগস্ট শিক্ষককে বরখাস্তের ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তলব করেন হাইকোর্ট। ১৮ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।