সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আমিরুল ইসলাম পারভেজ। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে দৌলতপুর।। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোয়া ৪টায় মৃত ঘোষণা করেন। 

তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি জানান, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তার মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছিল। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজ বিজয় নগর এলাকায় আহত হন। তিনি ছাড়াও নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে এ পর্যন্ত পথচারী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত অন্তত ৪০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

নয়া পল্টন এলাকায় সংঘর্ষ

ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা হচ্ছেন, নাসির (২৫),  সুজন (২০),  নওয়াব আলী (৬০)  জাফর (৩০)  কালাম (৫৫), আলামিন প্রধান (২৫), রাফিন (২২), মারুফ (৪৬), এবিএম রাজু (৪৫), হুমায়ুন কবির (৩৫), লিয়ন (২২), আকলিমা (৩৫), সজীব হোসেন (২৬), সালেক (৩০), সজীব ভূঁইয়া (৩০), রাফসান জানি (৩০), মাসুম (৩২), বিল্লাল (২৫), রুবেল (২৫), কালাম (৩৮), নান্নু (৩৫), আকরাম (২০), মানিক(৩৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), রাজু আহামেদ (৩৫), কবির (২৫),  নয়ন (২৬), এমদাদুল (২৭), আনোয়ার (৪০), জমি (৩৪), হিয়া (২০), রাসেল (১৮), রোকসানা (৪২), রোমান (২৮), আরিন (৫২)। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এএসআই সামাদ, নায়েক আব্দুর রাজ্জাক, পুলিশ কনেস্টেবল আসাদুজ্জামান, কাইয়ুম ও আলী।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন আহত হয়ে এসেছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেককে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।