জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকাদান কার্যক্রম শুরু পুনাকের

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) উদ্যোগে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। 

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে মেয়েদের স্তন ক্যানসার, সারভেইকেল ক্যানসার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রবিবার পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যানসারজনিত মৃত্যুহার কমানোর উদ্দেশ্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করেছে এবং এটি ইপিআই শিডিউলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী সরকারের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা  ঘোষণা  করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পুনাক সদস্য ও তাদের কন্যা সন্তান ও স্টাফ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৪৫— তাদের এইচপিভি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে এবং এর আওতায় ১০০ জন পুনাক সদস্যদকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যানসার। এ ক্যানসার এইচপিভি নামক ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। ২০১৮ সালের ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের  তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে  আক্রান্ত হন এবং প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নারী মারা যান। অথচ জরায়ু মুখে ক্যানসার প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুনাকের সাধারণ সম্পাদিকা নাসিম আমিন, সহ-সভানেত্রী আফরোজা পারভীন, সহ-সভানেত্রী প্রথমা রহমান সিদ্দিকী ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদিকা ডা. ফাতেমা জেসমিনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।