জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ‘ডেভেলপমেন্ট অব মিডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিস ফর অ্যানহ্যান্সমেন্ট অব অ্যাকসেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক একটি চুক্তি (রেকর্ড অব ডিসকাশন) সই করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে। এটি জাইকার কারিগরি সহায়তা প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করা হবে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাইকা।
সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম এবং ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব ও উইং চিফ (আমেরিকা ও জাপান) একেএম শাহাবুদ্দিন। এই প্রকল্পের আওতায় আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম এবং অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আদালত, লিগ্যাল এইড অফিস (আইনি সহায়তা কেন্দ্র) এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলো থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে জাইকা। প্রকল্পটি প্রথমে ঢাকা, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে শুরু হবে। পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও সম্প্রসারণ করা হবে।
জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও একটি সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আইন ও বিচার বিভাগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে আশাবাদী।’
এই প্রকল্পের অধীনে সবার জন্য মধ্যস্থতা সংক্রান্ত আইনি সেবা আরও সহজতর এবং সাধারণ নাগরিকের মাঝে মেডিয়েশন/ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া জনপ্রিয় করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশে মামলার জট হওয়ার পেছনে মূল কারণগুলো বের করে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করবে জাইকা। যার ফলে দেওয়ানি মামলার বিচার প্রক্রিয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৩৫ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৪ সালে শুরু হবে।