রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিককে জামিন দেননি হাইকোর্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি দখল, হত্যাচেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগের মামলায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

পরে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। তিনি জানান, মামলার এক থেকে তিন নম্বর আসামি, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের (জামিন) দেননি। বাকিদের জামিন দিয়েছেন।

সাইফুদ্দিন খালেদ আরও  বলেন, ‘রূপগঞ্জে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য হুমকি, মারধরসহ  বাড়িঘর ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে, এসব অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।’ 

এর আগে ১৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটির আবেদন করেন ভুক্তভোগী আলী আজগর  ভূঁইয়া ও মো. মামুন।

মামলায় রফিকসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করেন মামুন, আর আলী আজগরের মামলায় ৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালত শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং আলী আজগর ভূঁইয়ার আবেদনটি গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পবিত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে মো. মামুন জানান, গত ১৭ অক্টোবর আসামিরা তাদের পাঁচ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৯৫ শতাংশ জমি রফিক ও মিজানুরের নামে রেজিস্ট্রি করে লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায়, তাদের গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। পরে ১৯ অক্টোবর সকালে আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হুমকি-ধমকি দেন।

সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর আসামিরা বাড়িতে এসে হামলা-ভাঙচুর করেন এবং গাভীসহ ঘরের প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান। এ সময় আসামিরা বসতঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন  ধরিয়ে দেন। পুনরায় তারা জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে ভয়ভীতি দেখান।

অপর মামলার বাদী আজগর আলী ভূঁইয়া জানান, গত ১৮ নভেম্বর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। এ সময় আসামিরা দ্রুত জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে হুমকি দেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আলমের আদালত শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি রূপগঞ্জ থানায় এফআইআর  করার নির্দেশ এবং আলী আজগর ভূঁইয়ার আবেদনটি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।