স্মোকিং জোন বাতিলে প্রয়োজন শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন

যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, কানাডা, থাইল্যান্ড ও নেপালসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশ পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ)’ বা ‘স্মোকিং জোন’ বাতিল করতে একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন। একইসঙ্গে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন ত্বরান্বিত করতে আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি)সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তরা এসব কথা বলেন।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন— ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার হুমায়রা সুলতানা এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন ইনচার্জ ও এটিজেএফবি’র সভাপতি তানজিম আনোয়ার।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনে পাবলিক প্লেস, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। এতে করে ৮৫ শতাংশ  হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩ শতাংশ রেস্তোরাঁয় তামাক কোম্পানি বিজ্ঞাপন-সামগ্রী প্রদর্শন করছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, কানাডা, থাইল্যান্ড ও নেপালসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশ পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে।’

মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাস হলে দেশে আইনটি এফসিটিসি’র সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন ত্বরান্বিত হবে।’

আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন জনপরিসর ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ) থাকলে অধূমপায়ীদের পাশাপাশি সেবাকর্মীরাও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। থাইল্যান্ড, নেপাল, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশকিছু দেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ সূচকে ভালো করলেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তবে ডিএসএ বাতিলের প্রস্তাব সংবলিত খসড়া সংশোধনীটি পাস হলে বাংলাদেশও এসব দেশের কাতারে পৌঁছাবে।’