সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। উপকূল থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ নামটি দিয়েছে মিয়ানমার। এর অর্থ শক্তিশালী ঈগল। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এর আগে সর্বশেষ নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’বয়ে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ঝড়টি বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ  দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার  দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪০ কিলোমিটার  দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

সারা দেশের রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।