সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ ও প্রবণতা বিষয়ে এআইইউবিতে সেমিনার

অনলাইন যুগে সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো মোকাবিলার উপায় নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ৫ নভেম্বর) আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

'দ্য ট্রেন্ডস অব কনটেম্পরারি জার্নালিজম: লোকাল গ্লোবাল ইন্টারঅ্যাকশন' শীর্ষক শিরোনামের এই সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম  এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন এআইইউবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম এবং মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সোমা।

গণমাধ্যমের উপরে প্রযুক্তির প্রভাবের গুরুত্ব তুলে ধরে এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এজন্য একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। 

সেমিনারের কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী মিডিয়ার রূপান্তর এবং সাংবাদিকদের নতুন দক্ষতা বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ধীরে ধীরে দর্শক এবং পাঠকের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া, নিউ মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং এবং ডিজিটাল স্টোরি টেলিং এখন জায়গা করে নিচ্ছে। 

ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টি টাস্কিং শেখার উপরে বিশেষ জোর দিয়ে বলেছেন, এখন আর আগের মতন শুধু রিপোর্টিং বা শুধু এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।