২০১৮ সালে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
কারাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আব্দুর রশিদ, শামসুল আলম বাবুল, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন রমু, মিয়াজ উদ্দিন, এহসানুল হক বাবু ওরফে নুরুল আফসার বাবু, তারেকুল রাজ্জাক, নাজির উদ্দিন ওরফে দারোগা আলী, সফুর উদ্দিন ওরফে সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, মাঈনুল ইসলাম অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, তাসলিমা আক্তার ভূঁইয়া বেবী, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. ছাইফুল ইসলাম, মো. কবির, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি, মোমিনুল হক অপু, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. হেলাল উদ্দিন হেলু।
আসামিদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, তারেকুল রাজ্জাক ওরফে তারেক, সফুর উদ্দিন ওরফে সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, মাঈনুল ইসলাম ওরফে অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি ও মোমিনুল হক অপুসহ ১৪ জনকে দণ্ডিবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডবিধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাত আসামিকে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডিবধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নারী বিবেচনায় আদালত তাসলিমা আক্তার বেবিসহ ৬ জনকে দণ্ডিবিধির ৩৪৩, ৩৩২ও ৩৫৩ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলায় কবির নামের এক আসামি কারাগারে রয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত হলেন-মোস্তফা মিন্টু, শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু, দিদারও রাজীব হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।