‘৩ কোটি তরুণ ভোটারকে আমরা বিজয় দেখাবো’

দেশের তিন কোটি তরুণ ভোটার বিজয় দেখেননি। এবার তাদের বিজয় দেখাবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমাদের তিন কোটি তরুণ ভোটার বিজয় দেখেনি। আমরা তাদের বিজয় দেখাবো। বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে গত এক বছরে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেও এই দেশের মানুষ ডিজিটাল শব্দের অর্থ জানতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা ওষুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু ৩ শতাংশ ওষুধ আমরা আমদানি করি। আর রফতানি করি ১৫০টি দেশে। এসব সফল হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে, শেখ হাসিনার কারণে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) 'বিজয়ের ৫৩ বছর' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এ উপাচার্য বলেন, অনেকেই বলে তারা শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা দেখে না। আমরা সফলতাও দেখি, ব্যর্থতাও দেখি। আমরা সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার করেছি, তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা বীরের জাতি, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। ত্যাগ, দেশপ্রেম আর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের পদ্মা সেতু হবে, মেট্রোরেল হবে, কর্ণফুলী টানেল হবে। এই স্বপ্নগুলো উনি (প্রধানমন্ত্রী) বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার ৮০ শতাংশ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ শেখ হাসিনাই করতে পারবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ পেছনে চলে যাবে। তার উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে ভোটের মাধ্যমে আরেকটা বিজয় আনতে হবে। তিন কোটি ইয়াং ছেলে-মেয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আবারও বিজয় ছিনিয়ে আনবে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ছয় লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই নজির বিরল। স্বাধীনতা যদি একটি স্বপ্নের নাম হয়, তবে সেই স্বপ্ন দেখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অশেষ আত্মত্যাগ ও অসীম সাহস ও অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে সব বাধা অতিক্রম করে তিনি এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে সফল করেছেন।

তিনি বলেন, ভারতের ১৭ হাজারের বেশি সৈনিক এই মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি, তখন যদি ভারতের জনগণ ও সে সময়কার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথা স্মরণ না করলে তা আমাদের আত্মপ্রবঞ্চনা হবে। বঙ্গবন্ধু এমন একটি সময়ে এই দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন যখন দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তু ছিল। সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এমন কোনও পদক্ষেপ নেই যা বঙ্গবন্ধু নেননি। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর সময়কালে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশের ভীত তৈরি করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল।