সদরঘাট ফিটফাটই থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছে। এতে বিশ্বে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। আমরা এ বিষয়ে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স’ করবো। কূটনৈতিক রিলেশনশিপ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ততার কারণে ঢাকার সদরঘাটে অনেকে দোকানপাট বসিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নেবো। সদরঘাট যেভাবে ফিটফাট আছে, তেমন ফিটফাটই থাকবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসির কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন সামনে কী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমাকে পুনরায় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিষ্কার থাকতে চাই, তিনি যাতে বিব্রত না হন।’

দ্বিতীয় মেয়াদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রতিমন্ত্রী শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম নেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথা বললে মূল চিত্র পাওয়া যায়। আমি সেখান থেকে জেনে জেনে বিভিন্ন সভায় অনেক কিছু উপস্থাপন করতে পারি।’ বুধবারের (১৭ জানুয়ারি) অনাকাঙ্ক্ষিত ফেরি দুর্ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর মূল বিষয়টি জানতে পারবো। আমরা যে যার চেয়ারে বসে আছি। পেশাদারিত্বটাকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদী ও নদীর তীর রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের  কাজ করা হচ্ছে। এর একটি পজিটিভ দিক হলো—নদী নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নদীর পাশে মানুষকে নিতে পেরেছি। ঢাকা উদ্যান এলাকায় আগে কেউ যেতো না। এখন লাখ লাখ লোক যাচ্ছে, এটি আমাদের প্রাপ্তি। দেশের ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। এজন্য বালু দরকার। বালুমহাল প্রয়োজন। এগুলো বন্ধ করা যাবে না। পরিকল্পিতভাবে যাতে সবকিছু হয়, সে বিষয়ে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা সদরঘাটে আমাদের ব্যস্ততার কারণে অনেকে দোকানপাট বসিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নেবো। সদরঘাট যেভাবে ফিটফাট আছে, তেমনই ফিটফাট থাকবে।’

শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশর সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল, সাধারণ সম্পাদক আফরিন জাহান, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রাশেদ আলী, ফারুক খান, রাশিম মোল্লা, শামছুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম, মাহমুদ আকাশ, তরিকুল ইসলাম সুমন, গাজী শাহনেওয়াজ, আকতার হোসেন, রতন বালো, মেসবাহ উল্লাহ শিমুল, ইসমাইল হোসেন, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম সবুজ ও  হাবিব রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।