পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

নিজেদের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ছয়টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এছাড়া চারটি সরকারি দফতরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহক হয়রানির কারণে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে সেবা নিতে গেলে দালালদের দৌরাত্ম্য দেখতে পায়। দালালদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের যোগসাজশ পায়। দুদকের টিম এক দালালকে হাতেনাতে ধরে প্রশাসন বিভাগের পরিচালকের কাছে নিয়ে যায়। পরিচালক দুদকের টিমকে জানান, প্রতি মাসে পাসপোর্ট অফিসে র‍্যাবের অভিযান চালানো হয়। তিনি ওই দালালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এছাড়া এই দালালদের যোগসাজশের অপরাধে তিন আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বশেষ অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম দ্রুত কমিশন বরাবর এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল ও অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম পরিদর্শনে নয়তলা ভবনের অনুমোদন থাকলেও ভবন মালিক ১২ তলা নির্মাণ করেন। এছাড়াও নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের প্রমাণ পায় টিম। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। রেকর্ডপত্র যাচাই করে কোনও কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।