বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মিরপুর কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয় চত্বরে এ অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। এছাড়া আরও দুটি অভিযান এবং সাতটি অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, মিরপুর বিআরটিএ’র ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে বিভিন্ন সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পাওয়ার পর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়।

দুদকের সদস্যরা গ্রাহক হিসেবে সেবা নিতে গেলে ওই দফতরে দালালদের আনাগোনা দেখতে পান। এ সময় একজন দালাল দুই জন দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও বিআরটিএতে কর্মরত একজন সিএনএস কর্মীকে হাতেনাতে ধরে দুদক টিম। তাদের ফোনে বিভিন্ন অ্যাপে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম তাদেরকে পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর কাছে উপস্থিত করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উক্ত দালাল ও সিএনএস কর্মীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের নিকট অভিযানে পাওয়া তথ্য তুলে ধরলে তিনি দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দফতরগুলোকে জনবান্ধব করার আশ্বাস দেন। অভিযানে পাওয়া রেকর্ডপত্র যাচাই করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অন্যদিকে, রাজধানীর আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার ও মো. শাওন হোসেন অনিক এবং উপসহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে তিন দালালকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরবর্তীতে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালককে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি অবহিত করে গ্রাহক হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।