মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাবে র‍্যাব

মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন র‌্যাব ডিজি।

কিশোর গ্যাং ও মাদক প্রতিরোধের বিষয়ে লেখা দুটি নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের বই কিশোরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। পাঠ্যবইয়ে মাদকের কুফল, কিশোর গ্যাং-এর কুফলের বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে অপরাধ কমে যাবে।

428194623_1738824673306872_4272960313031195109_nতিনি বলেন, আমরা যদি জাপানের দিকে দেখি, সেখানে শিশুদের প্রথম দুই বছর কোনও পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা পড়ানো হয় না। তাদেরকে সেখানে শিখানো হয় ম্যানার (আচার-আচরণ)। দুই বছর পর তাদের পাঠ্য বইয়ে পড়াগুলোকে শেখানো হয়। যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে মাদকের কুফল কিশোর গ্যাং-এর কুফল নিয়ে আলোচনা করা হয়, বা ক্লাস নেওয়া হয়, তাহলে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাবে। অতীতেও আমি এ বিষয়গুলো দেখেছি। তাই সর্বোপরি সবাই সব জায়গা থেকে মাদক এবং কিশোর গ্যাং-এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। সমাজব্যবস্থা যেন সুন্দরভাবে পরিচালনা হতে পারে, সমাজের মানুষ যেন কোনও প্রকার হুমকির মধ্যে না থাকেন সেটি নিশ্চিত করা।

র‌্যাব ডিজি বলেন, আপনারা জানেন— রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে এই কিশোর গ্যাং-এর বিস্তার খুব বেড়ে গিয়েছিল, যেখানে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এসব কিশোর গ্যাং-এর কেউ না কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা আছেন। এরা সব সময় থাকে, অতীতেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি, কিশোর গ্যাং সমূলে কীভাবে বিনাশ করা যায়, পাশাপাশি যারা এদের পরিচালনা করছে আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবো।

এম খুরশীদ বলেন, মাদকের বিষয়ে কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সকল বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। মাদকের বিষয়টি এমন হয়েছে যে শুধু পুলিশ-র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর দিয়ে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক বেআইনি পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু আমরা সেই পথে যাচ্ছি না, আইনের মধ্যে থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

র‌্যাব প্রধান বলেন, দেশে যখন জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, আমরা তখন দলমত নির্বিশেষে সামাজিকভাবে এর মোকাবিলা করলাম তখন কিন্তু জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। সেভাবে মাদকও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।