পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ হলো আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এই উপলক্ষে সকাল ৯টা ৮ মিনিটে বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বনানীর সামরিক কবরস্থানে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ নিহতদের প্রতি শদ্ধা জানান।

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা প্রিয়জনের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেষে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন এবং শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের মর্মান্তিক ও নৃশংস এক ঘটনা। বিপথগামী কিছু সদস্যের নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।

দুদিন ধরে (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) চলা নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন তৎকালীন বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সেনা কর্মকর্তারা। তাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক ও নির্যাতন করা হয়। এ সময় নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।