সবার যত্ন নিতে গিয়ে নারী নিজের যত্নই নিতে পারে না: ডা. হাসনা হোসেন আখী

বন্ধ্যাত্ব ও গাইনি বিশেষজ্ঞ এবং ল্যাপ্রোসকপি সার্জন ডা. হাসনা হোসেন আখী বলেছেন, মেয়েদের মনের অবস্থার পরিবর্তনের কারণ হিসেবে হরমোনজনিত একটা সিম্ফনি কাজ করে। এর কারণে তাদের মুড সুয়িং হয়৷ গর্ভধারণ থেকে শুরু করে বাচ্চা লালনপালন সব ক্ষেত্রেই নারীদেরই অধিক মানসিক চাপে থাকতে হয়। তাই নারীদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়া উচিত। তারা সবার যত্ন নিতে গিয়ে নিজের যত্নই নিতে পারে না।

শনিবার (৯ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত আয়োজন বৈঠকিতে ‘নারীর মন তার অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিমেড-ইউনিহেলথ ফার্মার সহযোগিতায় বৈঠকিটি এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়।

ডা. হাসনা হোসেন আখী বলেন, ‘আমাদের ঘরের পরিবেশটা এখনও নারীবান্ধব হয়ে ওঠে নাই। তাই নারীদের মন খারাপ বোঝার মতো চেষ্টা বাসার পুরুষরা করে না।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক কারণেই এখন মেয়েরাও চায় তাদের সন্তান একটি ছেলে হোক। কিন্তু বাস্তবতা এখন মেয়েরাই তাদের মা-বাবাকে বেশি দেখাশোনা করছে। তাই নারীদেরও এখন সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতে হবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজ দক্ষতায় নিজের অবস্থান তৈরি করতে হবে সমাজে। তবে মেয়েদের একটা সমস্যা তারা একটু আবেগী, তাদের মন খারাপ বেশি হয়। এটা হরমোনজনিত কারণেই হয়। কিন্তু সব নিয়ন্ত্রণ করে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।’

এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন।