সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর চলাচলের রাস্তা ফিরে পেলো পরিবারটি

সরকারি ১৫০ ফুট রাস্তার পাশেই নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ৩০ বছর যাবত বসবাস করছে একটি পরিবার। কিন্তু একটি ডেভেলপার কোম্পানি দেয়াল নির্মাণ করে বাড়িতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন আল ইমরান নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগকারী কমিশনকে জানান, তারা নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ৩০ বছর যাবত বসবাস করছেন। অভিযোগকারীর মা, বড়বোন এবং বোনের শিশু সন্তান গৃহবন্দি অবস্থায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। এর ফলে পরিবারটি বিভিন্ন ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আতঙ্কিত থাকার বিষয়টি তিনি কমিশনে অবহিত করেন। অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও ফল পাননি উল্লেখ করে অভিযোগকারী বিষয়টির সমাধান চেয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালককে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে কমিশনের উপ-পরিচালক সুস্মিতা পাইকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (১৩ মার্চ) সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর বাসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তায় প্রায় ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল তৈরি করে দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে অভিযোগকারীর মা সকিনা আক্তার (৪৭), বড়বোন খালেদা আফরোজ এবং বোনের এক বছর বয়সী শিশু সন্তান খালিদ গৃহবন্দী অবস্থায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। ভুক্তভোগীদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়াতে তাদের মানবাধিকারে লঙ্ঘন করা হয়েছে মর্মে সরেজমিন পরিদর্শনে পরিলক্ষিত হয়েছে।

এ প্রেক্ষিতে অনতিবিলম্বে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ওই ডেভেলপার কোম্পানিকে নির্দেশনা দেওয়া হলে তারা দ্রুত চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়। সর্বশেষ কমিশনের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর ডেভেলপার কোম্পানি চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দিয়েছে বলে কমিশনকে নিশ্চিত করেছে।